আমরা খুব সহজেই কারো কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেই—
“তোমার বিয়ে হয়নি কেন?”
“বয়স তো অনেক হলো, সমস্যা কী?”
কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি, যার কাছে এই প্রশ্ন করি, তার ভেতরে কতটা কষ্ট জমে থাকে?
একাকীত্ব, সামাজিক চাপ, পারিবারিক বাধা, কিংবা ব্যক্তিগত সংগ্রাম— সবকিছু মিলিয়ে বিয়ে না হওয়া অনেকের জন্য এক ধরনের অসহায়ত্ব আর মানসিক যন্ত্রণা।
👉 স্বপ্নের মানুষকে হারানো – জীবনের ভালোবাসাকে হারিয়ে ফেলে অনেকেই আর কাউকে বেছে নিতে পারে না।
👉 পারিবারিক কারণে সুযোগ মিস করা – কারো কারো জীবন থেমে যায় ভাইবোনদের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে।
👉 উপযুক্ত মানুষ না পাওয়া – অনেকেই চাইলেও পছন্দমতো জীবনসঙ্গী খুঁজে পায় না।
👉 অসুস্থতা বা দায়িত্বের চাপ – দীর্ঘদিনের অসুস্থতা বা পারিবারিক দায়িত্বের কারণে অনেকে সংসার শুরু করতে পারে না।
একাকীত্ব – বয়স বাড়ার সাথে সাথে বন্ধু-পরিজন সবাই নিজের সংসারে ব্যস্ত হয়ে যায়, তখন অবিবাহিত মানুষটা ভীষণ একা হয়ে পড়ে।
সামাজিক কটূক্তি – “তোমার বিয়ে হয়নি কেন?” – এই প্রশ্নটা ধীরে ধীরে তীক্ষ্ণ কাঁটার মতো আঘাত করে।
পারিবারিক চাপ – আত্মীয়-স্বজনের চাপে অনেক সময় মানসিক অশান্তি তৈরি হয়।
ভবিষ্যতের ভয় – বৃদ্ধ বয়সে পাশে কেউ না থাকার আতঙ্ক অনেককে ভেতর থেকে ভেঙে দেয়।
অপূর্ণতার অনুভূতি – মা-বাবা হওয়া বা সংসারের স্বাদ না পাওয়া অনেকের কাছে জীবনকে অসম্পূর্ণ মনে হয়।
আমরা সাধারণত কারো ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি অযাচিত আগ্রহ দেখাই।
কিন্তু সত্য হলো—
বিয়ে হয়নি বা না হওয়ার পেছনে যে কারণই থাকুক না কেন, সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
👉 বিয়ে না হওয়া কোনো অপরাধ নয়।
👉 বরং এই মানুষগুলো প্রতিদিন অসহায়ত্ব, কষ্ট আর একাকীত্বের লড়াই করছে।
তাই সমাজ হিসেবে আমাদের উচিত—
✅ কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে সম্মান করা।
✅ কটূক্তির বদলে সহমর্মিতা দেখানো।
✅ “কবে বিয়ে করবে?” এই প্রশ্ন বাদ দিয়ে অন্যভাবে পাশে দাঁড়ানো।
বন্ধুরা,
আমরা কারো জীবনে আঘাত না করে বরং একটু সহানুভূতি দেখাই।
কারণ—
একাকীত্বের যন্ত্রণা সবচেয়ে ভয়ংকর।
আর আমরা যদি হাত বাড়াই, তাহলে অনেকেই হয়তো আবারও নতুন করে বাঁচার সাহস পাবে।